এপ্রিল ২৮, ২০২৫ ৮:৫২ অপরাহ্ণ
সোমবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নড়াইলে বন্ধ সেচ পাম্প, পানির অভাবে ৫৪০ একর জমি চাষে হিমশিম কৃষকরা

নড়াইলের কমলাপুর ও গন্ধবখালী এলাকার প্রায় ৫৪০ একর জমি বর্তমানে পানির তীব্র সংকটে চাষাবাদে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষকরা। একসময় এই এলাকায় স্থাপিত দুটি সেচ পাম্প ছিল কৃষকদের সাশ্রয়ী পানির ভরসা। তবে গত এক দশক ধরে সেগুলো বন্ধ থাকায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ।

১৯৮৫ সালে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পানি সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় স্থাপন করা হয়েছিল সেচ পাম্প দুটি। উদ্দেশ্য ছিল— নিন্মব্যয়ে কৃষকদের জন্য সেচ সুবিধা নিশ্চিত করা। দীর্ঘ সময় কার্যকর থাকলেও বর্তমানে সেগুলো চালু না থাকায় ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিনে চড়া দামে পানি নিতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা।

কমলাপুর গ্রামের কৃষক চুন্নু গাজি জানান-“প্রথমদিকে ফ্রি পানি পেতাম। পরবর্তীতে বিদ্যুৎ বিলের কথা বলে টাকা নেওয়া শুরু হয়। পরে শুনি বকেয়া বিল জমে গেছে। এখন এক কানিতে সেচে ১০০ টাকা খরচ হচ্ছে। সেচ পাম্পটি চালু থাকলে আমাদের অনেক উপকার হতো।”

নাকশি গ্রামের কৃষক টুটল মোল্যা বলেন-“নাকশি, কমলাপুর ও ঘোষপুর—এই তিন গ্রামের জমির জন্য একমাত্র ভরসা ছিল এই সেচ পাম্প। আগে পানি বিনামূল্যে মিলত, এখন অনেক খরচ। জমি আছে, ফসল করতে পারছি না।”

২০১৯ সালে সেচ পাম্প মেরামতের জন্য প্রস্তাব করা হয় ৩৫ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প। তবে করোনার কারণে তা থমকে যায়। এখন নতুন করে আবারও তৎপরতা শুরু হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অভিজিৎ কুমার সাহা বলেন-“দুটি সেচ পাম্প চালুর জন্য চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। বাজেট বরাদ্দ পেলেই দ্রুত মেরামত কার্যক্রম শুরু করা হবে।”

কৃষকরা জানাচ্ছেন, আগে এক জমিতে ধান, পাটসহ তিনটি ফসল হতো। এখন সেচ খরচে ভেঙে পড়েছে সেই চক্র। কেউ কেউ জমি অনাবাদি রেখেছেন শুধুই সেচ সংকটের কারণে।

এই বিভাগের সর্বশেষ