এপ্রিল ২৯, ২০২৫ ১:৪৮ পূর্বাহ্ণ
মঙ্গলবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানুষরূপী নরপশুর চিরতরে বিনাশ

আমাদের সমস্যা হলো আমরা যৎ সামান্য প্রতিবাদ করি। তাও আবার মুখ দিয়ে নই! মনে মনে প্রতিবাদ করি। আমাদের সেই প্রতিবাদের ভাষা নিরবে ধিক্কার। আমাদের শরীরে শক্তি সামর্থ্য আছে , তারপরও আমরা নিরব ভাবে প্রতিবাদ করি। আমাদের নিরবতার ভাষা, যার পড়তে ভালো লাগে; সে পড়ে। যার ভালো লাগে না,সে স্ক্রিপ্ট করে । আমরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ( ফেসবুক, টুইটার ,লিংক ডিন) এ বিচার চাই । সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম কি আমাদের বিচার করে দিতে পারবে?

 

 

আমরা বলি ছিনতাই ,ডাকাতির ,লুটপাটের শাস্তি হোক। অনেকে আবার এসব ঘটনা দেখে দুই- একটা কান্নার ইমোজি দিয়েই চুপ থাকি । এসব কান্নার ইমোজি বা নিরবে প্রতিবাদ করার অর্থ হলো নিজের দূর্বলতার বহিঃপ্রকাশ করা ।

পৃথিবীর বিখ্যাত মনীষীদের বক্তব্যে থেকে অনুধাবন করা যায়। যেমন বিখ্যাত দার্শনিক ইমাম গাজ্জালি (রহ.) বলেন,সমাজে অন্যায় তখনই বিস্তার লাভ করে যখন সৎ লোকেরা নীরব থাকে।

আমাদের নিরবতার জন্য সমাজে যত ধরণের অপকর্ম সব কিছু বৃদ্ধি পাচ্ছে । আমাদের নিরবতার বিষ বাষ্প সোশ্যাল মিডিয়া। যেখানে আমরা জেগে থেকেও, ঘুমে ঘোরের মতো বমি করে ভাসায়। যার ভালো লাগে, সে পড়ে একটা স্যাড রিয়েক্ট দেয়। স্যাড রিয়েক্ট দিয়ে বিষয়টা খতম কে করে দেয়।

 

 

অনেকে রাজপথে মিছিল বের স্লোগান দেয় । এসব মিছিল স্লোগানের কারণে, সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহায়! এতে চোর ,ডাকাত, ছিনতাইকারী, দুষ্কীতিকারী, বা ধর্ষকের
কিছুই হয় না। মিছিলের সময় রাস্তায় তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়। সেই মিছিলে এসব চোর ,ডাকাত, ছিনতাইকারী, দুষ্কীতিকারী, বা ধর্ষকের কিছুই হয় না । তারা তো আর রাস্তার যানযটে থেমে থাকে না! আপনি মিছিলে স্লোগান দিয়ে, রাস্তা অবরোধ করে সময় পার করতেছেন। অপরদিকে এসব দুষ্কীতিকারীরা নতুন ফন্দির ছক আকতেছে ।

আমরা অতি ভদ্রতা দেখাচ্ছি বলে, এসব চোর , ছিনতাইকারী , দুষ্কীতিকারী, বা ধর্ষকেরা সুযোগ পাচ্ছে। তাদের সুযোগ দিয়ে,আমরা দুঃখ প্রকাশ করি । সমবেদনা প্রকাশ করি নির্যাতিতদের কাছে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বা রাস্তায় মিছিল করে। আমাদের সমবেদনা তাদের কর্ণগোচর হয় না । কারণ তারা এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যায় । আমরা বরং তাদের লাশ কে পোস্ট মার্টাম করে কষ্ট দেয়।

কিছু দিন পূর্বে কয়েক জন ছিনতাইকারী কে লাঠি পেটা করার পর যেমনি কিছুটা সাময়িক ছিনতাই বন্ধ হয়েছে তেমনি ডাকাত, দুষ্কৃতিকারী বা ধর্ষক, কয়েক জনকে জনতার আদালতে হত্যা করতে হবে। বিশেষ করে :-(ধর্ষককে ) চিরতরে খতম করতে হবে।

 

 

চুরি,ডাকাতি,ছিনতাই হলে, মানুষ বেঁচে থাকে কিন্তু ধর্ষণ হলে মানুষ বাঁচতে পারে না। যদিও কোন রকমে বেঁচে যায়। সারাজীবন আতঙ্কে থাকে। এই যে আমরা যারা অতি সাধু আছি , এরাও তাদের জীবনকে বিষিয়ে দেয়। তাদের কে ধর্ষিতা ট্যাগ দিয়ে! তারা সমাজের কারো কাছে মুখ দেখাতে পারে না। ধর্ষণের স্বীকার হওয়ার পর বেঁচে গেলেও, আমাদের সাধু ব্যক্তিদের কটুক্তির অত্যাচারে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

এই সমাজ থেকে ধর্ষককে বিনাশ করতে হবে। ধর্ষক কারো ছেলে, ভাই,বাবা হতে পারে না! তার পরিচয় সে ধর্ষক। ধর্ষকের বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই । ধর্ষকের কোন নারী মা,বোন হতে পারে না ! সব নারী তাদের যৌন আকাঙ্ক্ষার চাহিদা পূরণের জমি। সুযোগ পেলেই তারা যে কোন নারীকে ভয় দেখিয়ে; তাদের বীর্যপাতের বীজ বপন করবে! এরা বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষ। এরা শিশু কন্যাকে ও ছাড়ে না ! এদের অন্তরে ঘুণ ধরছে । এদের সমাজে বেঁচে থাকার , কোন অধিকার নেই ।

সমাজ মানুষের জন্য। সমাজ কোন মানুষরূপী পশুর জন্য নই! সমাজে হিংস্র পশুর আগমন ঘটলে সেটা ধরে যেমনি খাঁচায় বন্দি করা হয়। অথবা জঙ্গলে ছেড়ে হয় । ঠিক তেমনি এসব ধর্ষকে ও জেলখানার খাঁচার ভেতর বন্দি না করে কবর নামের মাটির খাঁচায় বন্দি করা লাগবে। জেলখানার খাঁচার ভেতর থেকে, এসব নরপশু ফিরে আশার সম্ভবনা আছে । কবর নামের মাটির খাঁচা থেকে কিয়ামত ছাড়া ফিরে আসতে পারবে না । এসব ধর্ষককে সমাজ থেকে নির্মূল করতে হবে। যত দিন এর নির্মূল হবে না ততদিন আমাদের প্রিয় মা ,বোনেরা নিরাপদ নই।

 

 

আমাদের সমস্যা আমরা মনে করি আমাদের পরিবার নিরাপদে আছে । অন্যের বিষয়ে একটা মায়া কান্না দেখিয়ে চুপ থাকি। এটা আমাদের সব থেকে মারাত্মক ভুল! এই ভুলের জন্য এসব চোর, ডাকাত , দুষ্কীতিকারী, ধর্ষক আমাদের ভয় দেখানোর সাহস পাই। আমরা যেদিন একে অপরের সামান্য বিষয়ের সমস্যার দিকে আলোকপাত করবো। সেদিন সমাজে সুখ বিরাজ করবে । কোন নরপশু অপকর্ম চালানোর আগে;যেনো তাদের বুকে ত্রাস সৃষ্টি হয়। সর্বদা আমাদের সজাগ থাকতে হবে‌।

সমাজের মানুষের নিয়ম হলো :- ভয় পেলে ভয় দেখাবে , ভয় দেখালে ভয় পাবে। ঠিক তেমনি এই সব ছিনতাই ,ডাকাত , দুষ্কীতিকারী, ধর্ষক কে ভয় দেখানো লাগবে। তাহলে এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না ।

এই বিভাগের সর্বশেষ