ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফ্যাসিস্টের দোসররা বহাল তবিয়তে রয়েছে। শুধু তাই নয়, ফ্যাসিস্টের দোসরদের পদোন্নতিও হচ্ছে! জানা যায়, যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি দিতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে তোলপাড় চলছে কেন্দ্র থেকে মাঠ প্রশাসনে। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের দোসর হিসাবে পরিচিত উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিগত ১৫ বছরে বঞ্চিত বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা ফের পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে গোটা প্রশাসনে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ ও অস্থিরতা। এদিকে পদোন্নতিবঞ্চিত শতাধিক কর্মকর্তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে পদোন্নতির দাবি করে আবেদন করেছেন। উল্লখ্য, কয়েকদিন আগে যুগ্মসচিব পদে ১৯৬ জন কর্মকর্তার পদোন্নতি দেয় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার।

অভিযোগ রয়েছে, বিগত স্বৈরাচারের দোসররা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এখনো বহাল রয়েছেন। আমরা মনে করি, স্বৈরাচারের দোসরদের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের আরও সতর্ক হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে কোনোরকম বিলম্ব কাম্য নয়। স্বৈরাচারের দোসরদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে দেরি হলে তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করতে অপচেষ্টা চালাতে পারে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে নানা পর্যায়ে শুদ্ধি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। প্রশ্ন হলো, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের চিহ্নিত করতে শুদ্ধি অভিযান কবে শুরু হবে? উদ্বেগজনক বিষয় হলো, বেশ কিছুদিন ধরেই লক্ষ করা যাচ্ছে, আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে সক্রিয় হওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জানা যায়, সারা দেশে ওয়ার্ড পর্যায়ে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য দেওয়া হচ্ছে বিশেষ নির্দেশনা। ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা যেখানেই থাকুক, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।